সবে আমার মিঠাইয়ের আঠার হল। অতীতে চেয়ে, সমালোচনাকারীদের ডেকে জানাতে মন চাই, দেখে যাও পারি কি-না, আমি অবিভাবক। সন্জয়কে আমি মাত্র দুই বছর পেয়েছি। জীবন সাজানোর সময়ই কিছু বুঝার আগেই আমার পেটে মিঠাইকে রেখে সন্জয় ছেড়ে গেলো।
দাম্পত্যের এই সময়ে তার থেকে পাওয়া ভালবাসার অমর্যাদা করতে পারিনি। সন্জয়ের চলে যাওয়ার পরে সমাজ আমাকেই দোষারোপ করেছে। যখন তাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তখন সবাই উপহাস করেছে। সন্জয় ছাড়া বেঁচে থেকে কি লাভ এমনও ভেবেছি।
কিছুদিন পর পরিবার ও সমাজের একটা অংশ আমাকে নিয়ে চ্যালেন্জ করে বসল। ভুলতে পারিনা, এমন কেউ ছিল না, যে মিঠাইকে পৃথিবীর আলো দেখাতে চায়। কতজন যে কত ভাবে ভয় ও স্বপ্নের বেড়াজালে জড়ানোর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছিল। সত্যিই অবাক লাগে।
তবে আমার নিজের উপর আস্থা ছিল। সন্জয়ের প্রতি আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করতো আর সেটাই মনে ধরে পূর্ণ বাজি নিয়ে নিলাম। এই আঠারো বছরেও সন্জয়ের প্রতি অনুভূতিটা একটুও কমেনি। একটু হিংসা হয় আমার জায়গাটা যে দখল করেছে তার উপর।
অনেকে মনে করে আমি মিঠাইয়ের জন্য জীবনটাকে ছাড় দিয়েছি। হুম,তবে এটাও সঠিক সন্জয়ের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষা করেছি। সুমন চক্রবর্তী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।